নয়াদিল্লি : সরকারের তরফ থেকে ফোন গেল আন্তর্জাতিক পপ স্টার রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলন এর মুখ গ্রেটা থুনবার্গের কাছে। বিদেশমন্ত্রক থেকে তাঁদের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে | দেশে সম্প্রতি চলা কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খোলেন এই দুই জন এরপরেই সরব হয় বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরাসরি ফোন যায় রিহানা ও থুনবার্গের প্রতিনিধি দের কাছে।
এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে এই মন্তব্যগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভে করা হয়েছে। এই ধরণের মন্তব্যকে উস্কানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। রিহানা ও থুনবার্গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষিতে মন্তব্যকারীদের কাছে আবেদন করেছে বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে গোটা ঘটনা বুঝে ও সব তথ্য হাতে নিয়ে তবেই যেন মন্তব্য করা হয়।
কেন্দ্র সরকারের তরফে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে কৃষকদের দাবি দাওয়া মেটানোর। আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা রয়েছে। তাই সরকারের বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ধরণের কেন্দ্র বিরোধী মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এমন মন্তব্য করা হয়।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, টুইট বার্তায় থুনবার্গ লেখেন, “ভারতে কৃষকদের প্রতিবাদকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।” #FarmersProtest হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট টি করা হয় | থুনবার্গ একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন তাঁর পোস্টে। দিল্লি সীমান্তে তিনটি প্রতিবাদ স্থলে সরকার যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন গ্রেটা।
প্রসঙ্গত, সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসার পর হরিয়ানার কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জোরদার চর্চা ট্রেন্ডিং হওয়াতে রিহানা টুইট করে কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানানোর কিছু পরেই থুনবার্গ তাঁর সমর্থন জানান। নিজের টুইটে রিহানা লিখেছিলেন, “আমরা এনিয়ে কেন কথা বলছি না?”
এদিকে, কৃষক বিক্ষোভ রুখতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র এবার নোটিশ ধরাল টুইটারকে। কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত সমস্ত হ্যাশট্যাগ সম্পর্কিত পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।